ছোটদের মজার গল্প

ছোট বাচ্চারা মজার গল্প শুনতে অনেক বেশি পছন্দ করে। ছোট বাচ্চাদের সামনে যখন আপনি মজার গল্প শোনাবেন তখন তারা অনেক মনোযোগ সহকারে আপনার কথা শুনবে। এমনকি আপনি যদি ছোট বাচ্চাদেরকে দ্বারা কোনো কাজ করাতে চান বা কোন কথা শোনাতে চান তবে তাদেরকে মজা উপভোগ করাতে সক্ষম হতে হবে। আপনি যদি তাদেরকে মজা দিতে না পারেন তাহলে সে সকল বাচ্চাগুলো আপনার সাথে মিলবে না আপনার সাথে কথা বলবে না বা

আপনার কাছে আসবে না। আপনি যদি বাচ্চাদেরকে ভালবাসতে চান তাহলে বাচ্চাদেরকে সুন্দর সুন্দর কথা বলতে হবে। তাদেরকে তারা যেটা চাচ্ছে তাদেরকে সেটা দেয়ার মত সামর্থ্য আপনার থাকতে হবে। আপনার যদি সেই সামর্থ্যটুকু না থাকে তাহলে আপনি সে সকল বাচ্চাদের সাথে মিশতে পারবেন না। এজন্যই বলতে চাচ্ছি যে, আপনি আমাদের আজকে সকল মজার গল্প গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সে সকল মজার গল্প গুলো পড়ুন এবং তাদের সাথে মিশুন।

তারা যে সকল বিষয়গুলো আপনার কাছ থেকে যাচ্ছে আপনি তাদেরকে সেগুলো দিন তাহলেই তারা আপনার সাথে মিশবে এবং আপনার কথা শুনবে বা আপনার কাছে আসবে। আপনি যদি তাদেরকে তাদের জবাবগুলো পূরণ করতে অক্ষম হন তাহলে তারা আপনার কাছে আসবে না আপনার সাথে মিশবে না বা আপনার সাথে কথা বলবে না। এজন্যই বলতে চাচ্ছি যে, আমরা আজকে ছোট বাচ্চাদের জন্য বা ছোটদের জন্য মজার গল্প উল্লেখ করছি এ সকল মজার গল্প গুলো আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে বাচ্চাদের সাথে মিশতে।

বাচ্চাদের মজার গল্প

 

বাচ্চারা যখন খেলাধুলা করে তখন তারা আনন্দের সাথে খেলাধুলা করে। বাচ্চারা যখন কোনো একটি কাজ করে তখন সেটাও তারা আনন্দের সাথে করে এমনকি বাচ্চারা যখন কোন কথা বলে তখন সেই কথাগুলো তারা আনন্দের সাথে বলার চেষ্টা করে।

এজন্য আমাদেরকেও খেয়াল রাখতে হবে যে বাচ্চার যাতে সকল কাজের মধ্যে নিজের আনন্দটা খুঁজে পাই যারা বাচ্চাটা পড়াশোনা করছে তখন সে পড়াশোনাটাও তার কে আনন্দ দ্বারা পড়াশোনা করাতে হবে। আপনি যদি তাকে মারধর করেন অথবা তাকে বকাবকি করেন তবে সেই বাচ্চাটা মনোযোগ সহকারে পড়বে না এবং সেই পড়াটা সে মুখস্ত করতে পারবে না বা সেই পড়াটা সেই আয়ত্ত করতে পারবে না। এজন্য বাচ্চাদের সাথে কথা বলার সময় অবশ্যই মজার ভাবে কথা বলতে হবে যাতে তারা আনন্দ পায় আনন্দ উপভোগ করতে পারে এ সকল বিষয়গুলো আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে।

আর আপনার এ সকল দুশ্চিন্তাগুলো আমরা আমাদের আজকে প্রবন্ধটি সাজিয়েছি। আমাদের আজকের প্রবন্ধে বাচ্চাদের মজার গল্পগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বাচ্চারা যাতে মজা করে গল্প শুনতে পারে আপনি যাতে বাচ্চাদেরকে মজা করে গল্প বলতে পারেন সেই সকল বিষয়গুলো বিবেচনা করে আমাদের আজকের প্রোগ্রাম সাজানো হয়েছে। এই প্রবন্ধে আপনি সকল মজার গল্প গুলো দেখতে পাবেন এই গল্পগুলো পড়ে বাচ্চারা অনেক বেশি আনন্দ পাবে।

নিচে বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে কিছু গল্প উল্লেখ করা হচ্ছে সকল গল্প গুলো বাচ্চাদেরকে আপনি পড়ে শোনাতে পারেন বাচ্চারা এসব গল্প গুলো শুনে অনেক মজা ভাবে অনেক আনন্দ পাবে

গল্প: চকলেট দেশের গল্প

ভারতে এক দেশ আছে। সেই দেশটির নাম চকলেট দেশ। সেখানের সবই চকলেটের তৈরি; চকলেটের গাছ, চকলেটের মাটি, চকলেটের ঘর, চকলেটের ফুল, চকলেটের সবকিছু। সেখানে সাতটা ডাইনি আছে। ডাইনিগুলো সেখানে কাউকে ঢুকতে দেয় না।কাউকে একটুখানি চকলেটও খেতে দেয় না। শুধু নিজেরা খায়। সেখানে কেউ ঢুকলেই তাকে এক আছাড় মারে। বাংলাদেশে টুটু নামের এক ছেলে আছে। তার বয়স ১২। সে অনেক দুষ্টু ও সাহসী। একবার টুটু ও তার মা-বাবা ভারতে বেড়াতে গেল। টুটু ঘুরে ঘুরে জায়গাটা দেখছিল। ঘুরতে ঘুরতে সে চলে এল চকলেট দেশে। সে খুবই অবাক হলো। সে আগে কখনো চকলেট দেশ দেখেনি। টুটু একটা চকলেট নিল।

অমনি একটা ডাইনি এসে হাজির। টুটু ডাইনিটাকে দেখে একটুও ভয় পেল না। সে জানত ডাইনিরা লজ্জা পেলে পালিয়ে যায়। সে হেসে বলল, “হা হা হা, তুমি দেখতে খুব বিশ্রী, তোমার নাকটা বোঁচা, কানটা কুলার মতো, চোখটা চুলার মতো, হা.. হা……. হা………।” ডাইনিটা তো খুবই অবাক। টুটু তাকে একটুও ভয় পাচ্ছে না ! তখন সে সব ডাইনিকে ডাকল। এরপর সবগুলো ডাইনি বের হয়ে এল।

তাদের দেখে টুটু আবার হেসে বলল, “হা হা হা, তোমরা সবাই দেখতে খুব বিশ্রী, তোমাদের সবার নাকই বোঁচা, কানটা কুলার মতো, চোখটা চুলার মতো, হা…. হা……. হা………. তখন ডাইনিগুলো খুব লজ্জা পেল। লজ্জা পেয়ে চকলেট দেশ থেকে চলে গেল। এরপর থেকে সবাই চকলেট দেশে যেতে পারে। সবাই চকলেট খেতে পারে। সবাই ওখানে খুব মজা করে। তোমরা কি জনো এজন্য টুটু ভরতের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরুষ্কার পেয়েছে। একটা বাই সাইকেল। আর প্রধানমন্ত্রী অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছে।।

গল্প: ধার না দিয়েই সুদ

একদিন মোল্লার বাড়িতে বিবির ভীষণ অসুখ। হাতে একটাও টাকা-পয়সা নেই তাঁর, খুব টাকার প্রয়োজন। অথচ কারও কাছে টাকা পাওয়ার কোনো আশা-ভরসা নেই। এখন কী উপায়ে হেকিম আনা যাবে একমাত্র সেই চিন্তা পেয়ে বসল তাঁকে! রাত্রে শোয়ার সময় আল্লাহর নাম করে বহু মিনতি করে তিনি বললেন, “হে আল্লাহ আমার কাল টাকার ভীষণ দরকার, সে তুমি দেখতেই পাচ্ছ। তুমি গরিবের একমাত্র মা-বাপ! তাই যে কোনো উপায়েই হোক আমাকে কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দাও। যদি এমনি না দাও অন্তত ধার হিসেবে কিছু এনে দাও। আমি নিরুপায়। তুমি ছাড়া আমার বিপদ তাড়নে এ সময় আর কেউ নেই যে তার কাছে চাইতে পারি। দরজায় কড়া নাড়ার ভীষণ শব্দে সকালে ঘুম ভাঙল মোল্লার। দরজা খুলে সামনে দেখেন পাড়ার সব বিশিষ্ট ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য ।

মোল্লা তাঁদের দরজার সামনে সাতসকালে দেখে ভয় পেয়ে আগমনের হেতু জানতে চাইলে তাঁরা বললেন, ‘মোল্লা সাহেব, এত সকালে আসার কারণ, আমরা আল্লাহর দয়াতেই সবাই ভাল আছি। আমরা যাঁর দয়ায় বেঁচে আছি, খেতে-পরতে পাচ্ছি, যাঁর দয়ায় আমরা পৃথিবীর আলো-বাতাস ভোগ করতে পারছি, তাঁর সেবার জন্য কিছু করতে মনস্থ করেছি। কী আর এমন করা যায়, অনেক ভেবেচিন্তে আল্লাহর নামে গাঁয়ে একটা মসজিদ নির্মাণ করতে চাই আমরা। এজন্য আপনাকে মোটারকম কিছু চাঁদা দিতে হবে। সবাই না দিলে মসজিদ যে কোনোমতেই হতে পারবে না।’ মোল্লা তখন খেদের সুরে বললেন, ‘হা আল্লাহ! ধার না দিয়ে সুদ! কাল রাত্রে এমন কামনা করে ঘুমোইনি তো, হায় খোদা!’

ছোট বাচ্চাদের জন্য মজার গল্প

ছোট বাচ্চারা যে সকল মজার গল্প গুলো পছন্দ করে সেই সকল মজার গল্পগুলো আমাদের আজকের প্রবন্ধের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। ছোট বাচ্চাদের জন্য আজকে আমাদের এই প্রবন্ধটি সাজানো হয়েছে। ছোট বাচ্চারা যাতে মজার গল্প গুলো পছন্দ করে সে দিকে বিবেচনা করে আমাদের প্রবন্ধের সকল গল্প গুলো উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রতিনিয়তই আমরা এই সকল কাজ করছি আমরা ভবিষ্যতে এসব ধরনের কাজ করে যাব। আপনারা আমাদের সাথে থাকুন আপনারা যদি আমাদেরকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেন তাহলে আমরা আপনাদের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সকল কাজগুলো সম্পন্ন করার চেষ্টা করব। আর এজন্য আপনাদেরকে যা করতে হবে তা হল আমাদের সাথে থাকতে হবে।

Scroll to Top