ছোটদের হাসির গল্প

ছোটদের জন্য হাসির গল্প গুলো নিয়ে প্রতিনিয়তই আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করছি। আজকে আমরা ছোট বাচ্চাদের জন্য হাসির কিছু কবিতা এবং হাসির কিছু গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আপনার যদি আমাদের সাথে থাকেন বা আমাদের গল্পগুলো মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে ছোটদের জন্য যে সকল হাসির গল্প গুলো নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত আপনাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা করছি সে সকল হাসির গল্প গুলো আপনারা আমাদের আজকের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন।

আমাদের আজকের প্রবন্ধের মাধ্যমে যদি আপনাকে হাসির গল্প গুলো পেতে হয় তাহলে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে আমাদের প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আপনি যদি আমাদের আজকে প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে না পড়েন অর্থাৎ আপনি যদি এরকমটা চিন্তা করে থাকেন যে আপনি এই প্রবন্ধটি পড়ে যে কোনো একটা সময় পড়ে নিবেন তাহলে আপনি ভুল করবেন। কেননা পরবর্তীতে আপনি পড়তে গেলে হয়তো আপডেট তথ্যগুলো আবারো পাবেন।

কেননা এখন এই মুহূর্তে যে সকল আপডেট তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেই সকল আপডেট তথ্যগুলো আপনি পরবর্তীতে আর পাবেন না। পরবর্তীতে আবারো নতুন তথ্য উপস্থাপন করা হবে। আর তাই আমরা যখন যেই সময় আমাদের যে সকল প্রবন্ধগুলো আপলোড দিয়ে থাকি তখন সেই মুহূর্তে সেই প্রবন্ধ গুলো আপনার পড়ে ফেলা উচিত। কেননা আপনি মুহূর্তের সাথে সে সকল প্রবন্ধ যদি না করেন তাহলে পরবর্তীতে আরো আগের তথ্যগুলো পাবেন না পরবর্তীতে আবার নতুন তথ্য আপনাকে পড়তে হবে।

বাচ্চাদের জন্য হাসির গল্প

আপনার বাড়িতেও হয়তো ছোট বাচ্চা রয়েছে। আপনিও হয়তো আপনার বাচ্চাটিকে বা আপনার বাড়ির পাশে যে বাচ্চাটি অবস্থান করছে সেই বাচ্চাটিকে কোনো না কোনো গল্প বলে শোনান কোনো না কোনো হাসি তামাশা কথা বলে তাকে ঘুম লাগান অথবা কোনো কোনো হাসি তামাশা কথা বলে তাকে আপনার নিজের কাছে টানার চেষ্টা করেন।

এই সকল হাসি তামাশা কথাগুলো হয়তো আপনি কোথাও থেকে শুনেছেন বা আপনাকে কেউ শুনিয়েছে বা আপনি কোথাও পড়েছেন তাছাড়া এসব হাসি তোমার সাথে কথা বলে হয়তো আপনার কাছেও পৌঁছাতো না। আর তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি আমরা যে সকল হাসি তামাশা কথাগুলো আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে সংযুক্ত করছি সেসব কথাগুলো হয়তো আপনি আগে কখনো কোনদিন শোনেন নি।

এজন্য কথাগুলো আপনি যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্তে যার কাছে চাইলে তার কাছেই ব্যবহার করতে পারবেন এজন্য আপনাকে অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত করতে হবে না আপনাকে অতিরিক্ত চিন্তা করতে হবে না। আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে আমাদের প্রবন্ধ কোন মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমাদের যে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সে সকল বিষয়গুলো অত্যাধিক যত্নশীল ভাবে আপনাকে এগুলো করতে হবে তাহলে আপনি সকল বিষয়গুলো অতিবাহিত করতে পারবেন।

নিচে কিছু হাসির গল্প উল্লেখ করা হচ্ছে এ সকল গল্পগুলো বাচ্চাদেরকে আপনি যেকোনো সময় যে কোন মুহূর্তে পড়ে শোনাতে পারেন। বাচ্চারা আপনার গল্পগুলো শুনলে অনেক বেশি আনন্দ অনুভব করবে।

গল্পঃ মিষ্টার বিনের রোগী সেবা

একবার মিস্টার বিন তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে খুব তাড়াহুড়া করে বাসা থেকে বের হয়। বাসার সামনেই তার গাড়ি দাঁড়া করানো আছে। উক্ত গাড়িতে চেপে সে তার বন্ধুর বাসার দিকে যাবে। সাধারণত এদিক ওদিক কাছাকাছি কোথাও যেতে হলে মিস্টার বিন তার নিজের গাড়ি ব্যবহার করে। দূরের কোন যাত্রা হলে সেইক্ষেত্রে ট্যাক্সি কিংবা বাস অথবা ট্রেনে যাতায়াত করে। কারণ, তার নিজের কোন ড্রাইভার নেই। নিজের গাড়ি নিজেই ড্রাইভ করতে হয়। বেশিরভাগ সময় দূরের যাত্রায় নিজে গাড়ি ড্রাইভ করতে গেলে তার ঘুম পেয়ে যায়।

ফলে এ্যাক্সিডেন্টের ভয় থাকে। যাহোক, মিস্টার বিন তার গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ির প্রধান দরজার চাবি তার পকেটে থাকে। তবে গাড়ি স্টার্ট করার চার্সিটি জন্য একখানে রাখা আছে। সেই চাবিটি বের করতে তাকে কয়েকটি পদক্ষেপ পার হতে হবে। যেমন তাকে প্রথমে গাড়ির দরজার খুলতে হবে। তারপর গাড়ির ভেতর থেকে একটি চাবি বের করে গাড়ির পেছনের বুট খুলতে হবে। এই বুটের ভেতর, আছে একটি অন্য চাবি। এই চাৰিটি দিয়ে গাড়ির সামনের ইি বনেট খুলতে হবে। এই বনেটের মধ্যে রয়েছে গাড়ি স্টার্ট করার চাবি।

মিস্টার বিন এই কাজগুলো করে চাবি নের করে। এরপর গাড়ি স্টার্ট দেবার পালা। যথারীতি গাড়ির দরজা খুলে ভেতর হতে বসে মিস্টার বিন। তারপর গাড়ির নির্দিষ্ট স্থানে চাবি প্রবেশ করিয়ে মোচড় দেয়। কিন্তু গাড়ি মোটেই স্টার্ট নিজে চায় না একবার দুইবার, তিনবার এভাবে পরপর কয়েকবার চেষ্টা করার পরও গাড়ি যখন স্টার্ট নিতে চায় না। তখন বাধ্য হয়ে গাড়ির দরজার খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে মিস্টার বিন।

গল্পঃ পাকা মুহুরি

তিনু উত্তর করিলেন,—’আরও? আমার গৃহিণী অনেক জানেন। তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া আপনাকে আরও অনেক সাপের কথা বলিব। আপাতত কেবল আর একটি বলিয়া শেষ করি। আমার আট বৎসরের একটি বালক আছে। স্কুলে সে পড়িতে যায়। বাড়ি আসিয়া যোগ করিবার নিমিত্ত মাস্টার তাহাকে এক তেরিজ দিয়াছিলেন। শ্লেটে লিখিয়া অঙ্কটি ছেলে ঘরে আনিয়াছিল। বালক অনেক চেষ্টা করিল; কিন্তু অঙ্কটি বড় ছিল, কিছুতেই সে ঠিক দিতে পারিল না। হতাশ হইয়া বিরসবদনে স্লেটের পানে চাহিয়া ভাবিতেছে, এমন সময় তাহার কাধের উপর বসিয়া একটি সাপ মুখ বাড়াইল। তাহার পর সাপটি আরও অগ্রসর হইয়া পেন্সিল সহিত তাহার দক্ষিণ হস্তে অনেকগুলি পাক দিয়া জড়াইয়া ধরিল।

এইরূপে বালকের হাত ধরিয়া স্লেটের উপর তাহাকে লিখাইতে লাগিল। মুহূর্তমধ্যে বিনা ভূলে যোগটি সমাপ্ত করাইল। তাহার পর দিন। আমরা সকলে মিলিয়া বালককে ত্রৈরাশিক প্রভৃতি আরও নানারূপ কঠিন-কঠিন অঙ্ক দিলাম। বালক যোগও ভালো করিয়া শিক্ষা করে নাই। কিন্তু সেই সর্পের সহায়তায় মুহুর্তের মধ্যে সমুদয় অঙ্কগুলি সে কষিয়া ফেলিল। সেই অবধি মুহুরিগিরি করিবার নিমিত্ত সাপটিকে আমরা পুষিয়া রাখিয়াছি।

সংসার খরচের হিসাব, গয়লার সহিত দুধের হিসাব, ধোপার সহিত কাপড়ের হিসাব, আমাদের সামান্য একটু পৈতৃক সম্পত্তির হিসাব, কড়ায় গণ্ডায় সমুদয় হিসাব সেই সাপটি রাখে। জমিদারি সেরেস্তায় হিসাবের গোলমাল হইলে, সাপটিকে ভাড়া দিয়া আমরা মাঝে মাঝে বিলক্ষণ দুপয়সা উপার্জন করি। তাহাকে আমার মাহিনা দিতে হয় না, খাইতে দিতেও হয় না।

সাপটি বনে। চরিয়া আসে। তবে ভালো ব্যাঙ পাইলে, সমাদর করিয়া কখনও কখনও তাহাকে আমরা নিমন্ত্রণ করি।’ আড্ডাধারী জিজ্ঞাসা করিলেন, – আপনার বাড়িতে যে মুহুরিগিরি করে, এ কোন জাতীয় সাপ? এ সাপের নাম কী? তিনু উত্তর করিলেন, “ইহার নাম শঙ্খচূড় । হিসাবপত্রে ও জাতীয় সাপ সাক্ষাৎ শুভঙ্কর।’ তিনুবাবুর গল্পে সকলেই ঘোরতর বিস্মিত হইলেন। সকলেই তাঁহাকে ধন্য ধন্য করিতে লাগিলেন।

ছোটদের শোনানোর হাসির গল্প

ছোটদের আপনি যে সকল গল্প গুলো শোনাতে পারবেন সে সকল গল্প গুলো আমাদের আজকের প্রবন্ধের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে। উপরে আপনি যে সকল গল্প গুলো দেখছেন এ সকল গল্প গুলো শুধুমাত্র ছোট বাচ্চাদের জন্যই সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা প্রতিনিয়তই অনেক ধরনের কাজ করছি আপনারা যে সকল কাজগুলো আমাদের কাছ থেকে চান আমরা সেই সকল কাজগুলো আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।

আপনি যদি আমাদের কাজ সম্পর্কে অবগত থাকেন তাহলে আপনাকে বলতে চাই যে, আপনি আমাদের কাজগুলো দেখুন অবজার্ভ করুন বা আমাদের কাজগুলো বিবেচনা করুন যদি কোনো কিছু আপনার কাছে অপ্রতিকূল মনে হয় বা কোন কিছু আপনার কাছে ভুল মনে হয় সেগুলো আমাদেরকে জানান। আমরা চেষ্টা করব সে সকল ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সেই সকল ভুলগুলো যেন পরবর্তীতে আর না ঘটে সেদিকে বিবেচনা করার। এ জন্য বলছি যে আপনি আমাদের প্রবন্ধগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

Scroll to Top