চুলের যত্নে ঘরোয়া কিছু নিয়ম | ছেলে ও মেয়ের চুলের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি

চুল আমাদের দেহের এটি অন্যতম অঙ্গ বললেই হয়। যদিও এই চুল আমাদের সকলের সুখকর স্মৃতি দেয়না তারপরেও এই চুলের যত্ন নিতে আমরা কেউ অপছন্দ করি না। কল আমাদের শরীরের এমন একটি জিনিস এবং আমাদের চেহারা এমন একটি সৌন্দর্য যেটা না থাকলে অনেক খারাপ লাগে। যাই হোক আমরা আজকে আলোচনা করবো ছেলে ও মেয়ের উভয়ের চুলের যত্ন নেওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে।

আপনি দীর্ঘদিন যাবৎ লক্ষ্য করছেন আপনার চুলের পরিস্থিতি আর আগের মত নেই। এছাড়াও আপনি চুলের প্রতি যত্ন নিতে পারছেন না বা সময় পাচ্ছেন না। সবদিক বিবেচনা করে আমরা বিভিন্ন ধরনের বুদ্ধি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো যেগুলো ব্যবহার করে আপনি যেভাবেই হোক না কেন আপনার নিজের চুলের যত্ন নিজেই দিতে পারবেন।

চুল পড়া বন্ধের উপায়

আমাদের চুলের সবথেকে বড় সমস্যা হল চুল উঠে যাওয়া বা পড়ে যাওয়া। চুল পড়া বন্ধে আপনি কিছু জিনিস আগে থেকে করতে পারেন যেগুলো আপনার চুল পড়া কমাতে পারে। আমরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে এই পরিবর্তনগুলো আসতে থাকে এবং আমরা চাইলে আগে থেকে এই পরিবর্তনগুলো রোধ করতে পারি।

চুলে নিয়মিত কাস্টার্ড অয়েল ব্যবহার করা। আপনি যদি কাস্টার্ড অয়েল না পান তাহলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এই দুইটি তেল চুলের জন্য সবথেকে উপকারী এবং সবথেকে ভালো তেল। নিয়মিত এই দুই ধরনের তেল ব্যবহারে আপনার চুল হবে অত্যন্ত কালো এবং ঘন এবং চুল পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না

নিয়মিত প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া। প্রোটিন যুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে ডিম, মাছ ,মাংস, কাজুবাদাম, কাচা বাদাম, বিভিন্ন ধরনের ডাল, পুঁইশাক ইত্যাদি। এই জিনিসগুলো নিয়মিত আপনারা যদি আপনার খাবার তালিকায় রাখতে পারেন তাহলে আপনার চুলপড়া অনেকটা কমে যাবে।

পেঁয়াজের রসের ব্যবহার নিয়মিত চুলে করলে অনেক ক্ষেত্রে চুল পড়া প্রায় 90 শতাংশ কমে যায়। এছাড়া আপনারা ইচ্ছা করলে অ্যাপেল সিড ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন চুলে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করার জন্য এবং চুল পড়া বন্ধের নিয়মিত চুলে ম্যাসাজ করতে পারেন। অবশ্যই মাসাজ গুলোর কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো আপনার ইউটিউবে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও চুল পড়া বন্ধে বিভিন্ন ডাক্তারি পরামর্শ পেতে আমাদের দেখানো লিংকের মাধ্যমে প্রবেশ করে সেগুলো সংগ্রহ করুন।

চুলের যত্নে ঘরোয়া কিছু নিয়ম

চুলের যত্ন নিলে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে নিজে থেকেই কিছু নিয়ম অবলম্বন করতে হবে। প্রথম নিয়মের মধ্যে হচ্ছে চুলকে কোন সময় নোংরা রাখা যাবে না। আপনি যেভাবে হোক সবসময় চলতে পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করবেন।

চেষ্টা করবেন চুলকে সব সময় পরিষ্কার রাখতে এবং সম্ভব হলে চুল ঢেকে রাখার চেষ্টা করবেন যাতে সেখানে কোনো রকম ধুলোবালি না প্রবেশ করতে পারে। স্যাঁতস্যাঁতে এবং ভেজা চুল বেশিক্ষণ রাখা যাবেনা তাই চেষ্টা করবেন এগুলো যতসম্ভব শুকিয়ে নিতে।

চুলে চিরুনি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অত্যন্ত ভালো মানের চিরুনি ব্যবহার করবেন যেটাতে চুলের ক্ষতি অনেক কম হয়। এই সকল জিনিস গুলো আপনারা চুলের উপকারের জন্য ঘরোয়া ভাবে ব্যবহার করতে পারেন।

চুলে শ্যাম্পু ব্যবহারের নিয়ম

আমরা প্রতিনিয়তই চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করি। আপনি যে হিসাবে ব্যবহার করুন না কেন আপনাকে অবশ্যই শ্যাম্পু ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মানতে হবে এবং কিছু সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। যার দ্বারা আপনি অত্যন্ত ভাল রেজাল্ট পেতে পারেন।

প্রথমত আপনি চুলে শ্যাম্পু দিতে চান তাহলে চেষ্টা করবেন যথাসম্ভব চুলটি শুকনা রেখে শ্যাম্পু দিতে মাথা ঘেমে আছে এ অবস্থায় কখনো শ্যাম্পু দিতে যাবেন না। এরপরে চেষ্টা করবেন চুল যথাসম্ভব ভিজিয়ে নিতে এবং তার পরে সেখানে শ্যাম্পু দিতে।

শ্যামপুর পরিমাণ এমন ভাবে দিবেন যেটা আপনার চুলের জন্য খুব বেশি হবে না আবার কম হবেনা। এরপরে চেষ্টা করবেন একইভাবে ধারাবাহিকভাবে চুলে 5 মিনিট যাবত্ ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু এপ্লাই করতে। আপনি যেই শ্যামপুর দেন না কেন 5 থেকে 10 মিনিট আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে।

তবে অবশ্যই চুলে শ্যাম্পু দিয়ে মাসাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে আস্তে আস্তে আলতোভাবে মাসাজ করতে হবে যাতে চুলের ত্বকের কোনো ক্ষতি না হয়। এভাবে আপনার চুলের প্রতি যত্ন নিতে পারেন।

Updated: November 1, 2023 — 7:46 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *