খুব কষ্টের ভালোবাসার ছোট গল্প, সেরা ভালোবাসার গল্প ও কাহিনী

অনেকে রয়েছেন যারা গল্প শুনতে ভালোবাসেন বা গল্প করতে পাওয়া ভালোবাসা। কিন্তু গল্পের মধ্যে অনেক ধরন রয়েছে আজকে আমরা কথা বলবো কষ্টের গল্প নিয়ে। কষ্ট প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের একটি অংশ এবং ধরতে গেলে মানুষ জীবনের বেশিরভাগ সময় কষ্টের মধ্য দিয়েই অতিক্রম করে। তাই মানুষের জীবনের কষ্টের গল্প সবথেকে বেশি এবং এই কষ্টের গল্প যারা শুনতে চান বা পড়তে চান তারা আমাদের এখান থেকে আজকে ছোট ছোট কষ্টের গল্প শুনতে পারবেন।

যারা অনেক কষ্টে আছেন এবং নিজের মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এরকম কষ্টের গল্প খুঁজছেন তারা আমাদের এখান থেকে ছোট ছোট কষ্টের গল্প কাহিনী সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা আজকে আপনাদের কিছু কষ্টের গল্প শোনাবো।

কষ্টের ভালোবাসার গল্প

ভালোবাসার কষ্টের গল্প বলতে সেই ধরনের গল্প কি বুঝায় যেখানে ভালোবাসা সময়ের কাছে অথবা টাকার কাছে অথবা নিয়তির কাছে হেরে যায়। এখন সেরকম একটি কষ্টের গল্পের কথা আপনাদের শোনাবো।

একদা একটি ছেলে একটি প্রভাবশালী লোকের মেয়েকে খুব পছন্দ করে এবং তারা একে অপরকে ভালোবেসে ফেলে। তবে মূল কথা হলো এখানে দুই পরিবার রাজি থাকলেও তাদের মধ্যে ভেদাভেদ হয় তাদের ধর্ম। তার কারণ হলো একজন ছিল মুসলিম ধর্মালম্বী আর একজন ছিল হিন্দু ধর্মালম্বী। তারা নিজের ধর্মকে এতটাই ভালোবাসতো যে তারা নিজের ধর্মের জন্য নিজের ভালোবাসাকে ত্যাগ করে দিল এবং দুইজন দুইজনের থেকে আলাদা হয়ে গেল। এখানে ধর্মের কাছে ভালোবাসা হার মেনে গেল।

মেয়েদের কষ্টের গল্প

মেয়েদের জীবন কষ্টে ভরা এবং এই মেয়েদের জীবনে বহু কষ্টের গল্প কাহিনী রয়েছে। এই কষ্টের গল্প কাহিনীর জন্য আপনারা যারা বসে আছেন তারা আমাদের এখান থেকে এই কষ্টের গল্প কাহিনী জানতে পারবেন।

একটি মেয়ের খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে গেল। তার প্রধান কারণ ছিল সেই মেয়ের জন্মের আগে তার বাবা মারা গিয়েছিল এবং জন্মের দুই বছরের মাথায় তারা মা ও চলে গেল। সে বুড়ি নানীর কাছে বড় হয়েছে এবং তার মাত্র 14 বছর বয়সে বিয়ে হয়ে গেল। বুড়ি নানি একার পক্ষে তার এই নাতনিকে মানুষ করা সম্ভব ছিল না তাই সে বিপদে পড়ে সেই মেয়েটিকে বিয়ে দিল।

মেয়েটির দুঃখের কথা হলো এটাই যে যতটা দুঃখে ছিল বুড়ি নানীর কাছে তার থেকেও বেশি দুঃখে পড়ল বিয়ের পরে। তার কারণ হলো তার স্বামীর যথেষ্ট বয়স্ক একজন লোক এবং তার পরেও সে একজন মাতাল লোক। প্রতিদিন সে বাড়িতে আসার সময় মদ খেয়ে থাকত এবং তার স্ত্রীর কোন খোঁজখবর নিত না। তার স্ত্রী খেলেও কি না রান্না করলো কিনা এরকম কোনো খোঁজখবর সে নিত না।

এরকম করতে করতে দুই বছর কেটে গেল এবং হঠাৎ করেই সেই মেয়েটির গর্ভে একটি সন্তান এল। সন্তান প্রসব হওয়ার পরে সেই মেয়েটির বিপদ আরো বেড়ে গেল কারণ তার স্বামী তার কোন ধরনের খোঁজখবর নিয়ে তো না এবং তার সন্তানের কোনো দেখভাল করার চেষ্টা করত না। সেই মেয়েটি এদিক ওদিক থেকে স্পষ্ট করে কিছু একটা করে তার সন্তানের মুখের খাবার যোগাতো।

এইভাবে তার সন্তানের বয়স যখন দশ বছর হল তখন সেই মেয়েটি জানতে পারল তার ক্যান্সার হয়েছে। মাত্র 26 বছর বয়সে এই মেয়েটির জীবনের সবথেকে বেশি কষ্ট গুলো দেখল এবং সে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। চলে যাওয়ার সময় রেখে গেল 10 বছরের একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান যার ভবিষ্যৎ ছিল একেবারেই অন্ধকার। এটি হলো একটি মেয়ের জীবনের একটি ছোট্ট গল্প কাহিনী।

শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প

আসলে জীবনে আলাদাভাবে আপনাকে কেউ শিখিয়ে দিতে পারবে না আপনি তখনই শিখবেন যখন কোন কিছুর মাধ্যমে আপনি শিক্ষা পাবেন। আরে শিক্ষা পাওয়ার প্রধান মাধ্যম হলো কষ্টের মাধ্যমে শিক্ষা পাওয়া।

প্রতিটা কষ্টই আমাদের জীবনে যখন আসে তখন তার মাধ্যমে আমরা কিছু শিখতে পারি এবং সেটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।

Updated: November 1, 2023 — 7:46 am

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *