সাব ইন্সপেক্টর বা এস আই হলো বাংলাদেশ পুলিশের একটি পদমর্যাদা যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত এবং শ্রীলংকা পুলিশ বাহিনীর ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটা মূলত ব্রিটিশরা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক পুলিশ বাহিনীতে এবং নির্দিষ্ট ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীতেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই পদমর্যাদা সাধারণত পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর দায়িত্বে একজন পরিদর্শককে সহায়তা করে থাকে। আর এবারে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তক সাব-ইন্সপেক্টর অর্থাৎ এস আই পদে বিশাল আকার একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে। পুলিশের চাকরি করা অনেকেরই জীবনে স্বপ্ন। অনেকেই চান জীবদ্দশায় একবার পুলিশের চাকরি করতে। কেননা এটি একটি সরকারি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সংস্থা। বর্তমানে যার পদমর্যাদা অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা যারা পুলিশের এসআই পদে চাকরি করতে চান। তাদের জন্য আরও একটি সুখবর আসতে চলেছে এবারে এস আই পদে বিশাল আকার একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে।
আপনারা অনেকেই জানেন যে, বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক অর্থাৎ এস আই পদে চাকরির জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। তার তার মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো “প্রাথমিক মেডিকেল”। প্রাথমিক মেডিকেল অতিক্রম করতে পারলে বাকি ধাপগুলো সহজেই অতিক্রম করা সম্ভব। এবং প্রাথমিক মেডিকেলের জন্য একজন আবেদনকারী ব্যক্তির উচ্চতা অবশ্যই পাসপোর্ট ৬ ইঞ্চি এর বেশি হতে হবে এবং সেই সাথে বুকের মাপ স্বাভাবিক অবস্থায় ৩২ এবং প্রসারিত অবস্থায় ৩৪ এর উপরে হতে হবে। অন্যদিকে মেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক মেডিকেলের গুরুত্ব অপরিসীম মহিলা প্রার্থীদের জন্য উচ্চতা ন্যূনতম পাসপোর্ট ৪ ইঞ্চি হতে হবে সেই সাথে বিবাহিত প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। এখানে অবিবাহিত প্রার্থীরা বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়ে থাকে।
এসআই পদে চাকরি ২০২৩
বাংলাদেশ পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক বা এসআই পদে চাকরির করার উদ্দেশ্যে অনেকেই রয়েছেন। যারা আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করছেন কিন্তু সময় মত কোন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাচ্ছেন না। তাদের জন্য এটা একটি সুসংবাদ, কেননা উপযোগী একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। চাকরির জন্য কি কি করনীয় এবং কিভাবে আপনি সকল হাতগুলো সহজেই অতিক্রম করতে পারবেন। শুরুতেই এসআই পথে চাকরির জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের ধাপগুলো জেনে নেওয়া যাক:
- প্রিলিমিনারি স্ক্যানিং
- শারীরিক মাপ ও সহনশীলতা পরীক্ষা
- লিখিত মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা
- কম্পিউটার দক্ষতা পরীক্ষা
- বুদ্ধিমত্তা ও মৌখিক পরীক্ষা
- স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- পুলিশ ভেরিফিকেশন
- মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন
এ সকল ধাপগুলো অতিক্রম করার পরেই একজন পুলিশ পরিদর্শক বা এসআই পদে চাকরি পেতে পারেন। উপরিক্ত ধাপ গুলো প্রত্যেকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোন ব্যক্তি উপরের কোন একটি ধাপে অতিক্রম হতে না পারে। তবে তাকে এসআই পদে চাকরির জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সাব ইন্সপেক্টর পথে চাকরির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রী পাস বা সমমান পরীক্ষার ফলাফল এবং উচ্চতার উপর ভিত্তি করে চাকরি প্রদান করা হয়। সেই সাথে উপরোক্ত যে সকল নিয়মের কথা বলা হয়েছে। উক্ত নিয়মের উপর ভিত্তি করে ওয়েব বেজড প্রিলিমিনারি স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে শারীরিক ক্ষমতা যাচাই করা হয়।
বাংলাদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে চাকরির ক্ষেত্রে শারীরিক ফিটনেস পরীক্ষা দুই দিনে বিভক্ত করা হয়। নিচের এই অংশে আমরা সংক্ষিপ্তভাবে আপনাদের দেখাবো কিভাবে প্রথম এবং দ্বিতীয় সেই সাথে দ্বিতীয় দিন অতিক্রম করা সম্ভব।
প্রথম দিন: প্রয়োজনের সকল কাগজপত্র নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে অবস্থান করতে হবে এবং সাধারণ পরীক্ষা যেমন: উচ্চতা, ওজন এবং বুকের মাপ নেওয়ার পরে কাগজপত্র যাচাই করা হবে। সকল কিছু যাচায়ের পরে প্রার্থীদের এডমিট কার্ডের এক কপি শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার অংশগ্রহণ করার জন্য দেয়া হবে। এবং যোগ্যপ্রার্থীদের ফিজিক্যাল এনডিউরেন্স টেস্ট বা পিইটি এর সময় নির্ধারণ করা হবে।
দ্বিতীয় দিন: দ্বিতীয় দিন যোগ্য প্রার্থীদের পুরুষদের ক্ষেত্রে ১৬০০ মিটার দূরত্ব ৭.৩০ সেকেন্ডে অতিক্রম করতে হবে এবং নারী প্রার্থীদের ১০০০ মিটার দূরত্ব ৭ মিনিটে দৌড়ে অতিক্রম করতে হবে। এবং সেই সাথে নারী ও পুরুষ উভয়ের হাই জাম্প-লং জাম্প অনুষ্ঠিত হবে।
উপরিউক্ত সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষেই একজন আগ্রহী প্রার্থীকে এস আই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। আপনারা যারা এসআই পদে নিয়োগ হতে চান তাদেরকে অতিসত্বর আবেদন সম্পন্ন করার জন্য জানানো যাচ্ছে।